বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনা ভাইরাসের কারণে প্রভাব পড়েছে খেটে খাওয়া হাজারো শ্রমিকদের মাঝে । এ মানুষ গুলোর মুখে আহার তুলে দিতে দিন-রাত কাজ করছেন ১৩০ এর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ও ২নং কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল হোসেন লিটন মোল্লা।
২নং কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল হোসেন লিটন মোল্লা।
করোনার অসহয় শ্রমিকদের চাল বিতারণসহ আর্থিক সহযোগীতা করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একাধীক রোগীর কাছ থেকে। এদিকে করোনার আগে থেকেই শ্রমিকদের দাবী আদায়ের নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
মাহামারি করোনাভাইরাসে শ্রমিকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ তাদের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেয়ায় প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন।
অপরদিকে প্রতিটি শ্রমিকদের বিপদের সময় সবার আগে ছুটে যান। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাস টারর্মিনালে সাধারন শ্রমিকদের একজন অভিবাবক হিসেবে পরিচিতি লাভ করছেন। শুধু সরকারি তহবিলের আসায় না থেকে নিজ অর্থয়নে সাহায্য করে যাচ্ছেন। কেন্দ্রী বাস মালিক সমিতি থেকে ২০০ গাড়ি রুটে চলাচলের কথা থাকলেও ৬০/৭০টি গাড়ি চলমান রয়েছে।
বেকার হয়ে পরা শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা করে যাচ্ছে বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে। সুত্রটি আরো জানায়, একাধীক শ্রমিকদের স্ত্রী শেবাচিমে ভর্তি থাকায় তাদের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ফলে করনোর মাঝে তিনি পিচ পা না হয়ে শ্রমিকদের পাশে রয়েছেন।
স্বাস্থ বিধি মেনে সীমিত আকারে গাড়ি চলাচলের সিধান্ত নিলে তাৎক্ষনিক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিটি গাড়িতে স্পে করার জন্য একটি মেশিন ক্রয় করেন। পাশাপাশি সকল শ্রমিকদের স্বাস্থ বিধি মেনে চলাচল করতে বলা হয়। ভূরঘাটা রুবেল নামে এক শ্রমিক জানান, আমার স্ত্রী শেবাচিমে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। আমার কোনো গাড়িতে ডিউটি নেই।
এই মহামারি করোনার মাঝে কারো কাছে গিয়ে অর্থ মেলেনি। দুই আগে লিটন ভাইর কাছে গিয়ে সব খুলে বলায় তিনি রনি নামে এক ব্যাক্তিকে আমার সাথে শেবাচিমে পাঠিয়ে দেন ।
এসময় অনেক টাকার ঔষধ প্রয়োজন হয় চেয়ারম্যান’র কথা অনুযায়ী রনি ভাই সব ঔষুধ কিনে দেন। রুবেল এর মত কয়েকশত শ্রমিক রয়েছে যারা এখনো লিটন মোল্লার সাহায্য সহযোগিতার দিকে চেয়ে থাকেন।
এসব বিষয় নিয়ে ২নং কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামাল হোসেন লিটন মোল্লা বলেন, করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শ্রমিকরা । তবে এখনো অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে আছেন। আমি আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব চেষ্ট করি। আমি সব সময় আমার শ্রমিক ভাইদের পাশে আছি থাকবো।
হাসপাতালের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, শ্রমিকদের বাবা, মা,স্ত্রীসহ পরিবারের অনেকেই অসুস্থর কথা বলেন। সে গুলো ঝাচাই-বাছাই করে তাদের আর্থিক সহযোগীতা করা হয়। কাশিপুর এলাকার এক শ্রমিক বলেন, শ্রমিকদের বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। কাউকে ত্রাণ নিতে ছুটতে হচ্ছে না। ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন লিটন ভাই।
Leave a Reply